ইন্দোনেশিয়ায় বিধ্বস্ত বিমানের সব যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা
- আপডেট টাইম : ২১ জুন ২০২১, ০৯:১৪ অপরাহ্ণ
- /
- 262 বার পঠিত
সাইফুল ইসলামঃ ইন্দোনেশিয়ার যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সাগরে পড়েছিল তা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল আগেই। এবার উপকূলে ভেসে এল দেহাবশেষ। এই অবস্থায় পাইলট, বিমানকর্মীসহ বিমানটি উড়েছিল যে ৬২ জন যাত্রী নিয়ে তাঁদের মধ্যে কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধারণা করেছেন উদ্ধারকারীরা।
রবিবার (১০ জানুয়ারি) ইন্দোনেশিয়া এমন একটি সিগন্যাল সনাক্ত করেছে যা বিধস্ত বিমানের ফ্লাইট রেকর্ডারের (ব্ল্যাক বক্স) হতে পারে বরে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এরই মধ্যে মানব দেহাবশেষ এবং বিমানের সন্দেহজন টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
জাকার্তা পুলিশের মুখপাত্র ইয়ুসরি ইউনুস সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রবিবার সকাল পর্যন্ত দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করা গিয়েছে। তার মধ্যে একটিতে যাত্রীদের দেহাংশ মিলেছে। অন্যটিতে তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের টুকরো।’
বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসাবশেষ এবং মৃতদেহ উদ্ধারে শনিবার দুপুর থেকেই উদ্ধারকার্য শুরু হয়ে গিয়েছিল এবং পরবর্তীতে রাতে কিছু সময়ের জন্য তা বন্ধ রাখতে হয়। কিন্তু আবার সকাল থেকেই আবারো উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।
জাকার্তা প্রশাসন উদ্ধারকার্য চালাতে এই মুহূর্তে ১০ টি জাহাজ নামানোর পাশাপাশি নৌবাহিনীর ডুবুরিদেরও নামানো হওয়ায় তারা উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের টুকরোগুলোও পরীক্ষা করে দেখছেন।
শনিবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে জাকার্তার সোকরানো-হাত্তা বিমানবন্দর থেকে পোনতিয়ানাকের উদ্দেশে রওনা দেয় শ্রীবিজয়া এয়ারলাইন্সের এসজে ১৮২ নম্বর বিমানটি। পাইলট, সহকারী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে তাতে ৬২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে ছিল এক সদ্যজাতসহ ৬ শিশু। বিমানবন্দর থেকে উড়ানের ৪ মিনিটের মধ্যেই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় কন্ট্রোল রুমের।
একটি ফ্লাইট ট্র্যাকার ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, “বিমানটি উড়ানের পর সোজা ১০৯০০ ফুট উপরে উঠে যায়। তবে মাত্র ১ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে প্রায় ১০ হাজার ফুট নেমে গেলে সেই অবস্থায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং তার কয়েক ঘণ্টা পরপরই জানা যায় বিমানটি ভেঙে পড়েছে জাভা সাগরে।”